কোপা আমেরিকা থেকে বিদায়ের সম্ভাবনা ছিল দুদলের। ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডর। ব্রাজিলের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে ড্র করে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে ইকুয়েডর। কিন্তু ভেনেজুয়েলা পারেনি। পেরুর কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে হুগো শ্যাভেজের দেশের। সে সঙ্গে ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানারআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পেরু।
ব্রাজিল আগে থেকেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছিল; কিন্তু বাকি কোন তিনটি দল গ্রুপ ‘বি’ থেকে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাবে, সেটি নির্ধারণ হলো সোমবারের ভোরের দুটি ম্যাচ দিয়েই।
পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবেই। তখনও হাসতে হাসতে মাঠ ছেড়েছিল ভেনেজুয়েলা। কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে হারছিল ইকুয়েডর। সমীকরণ ছিল এমন অবস্থায় ড্র করলেই চলত ভেনেজুয়েলাকে। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়র্ধে বদলে যায় সব অঙ্ক। গ্রুপের অন্য ম্যাচে তখন ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল দিয়ে ফেলে ইকুয়েডর। এদিকে পেরুর বিরুদ্ধে গোল হজম করতে হয়েছে ভেনেজুয়েলাকে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ৪৮ মিনিটে আচমকাই গোল হজম করে ভেনেজুয়েলা। কর্নার থেকে ফাঁকায় বল পাওয়া উইঙ্গার আন্দ্রে ক্যারিলোর গোলে স্বস্তি ফেরে পেরু শিবিরে। কারণ, এই ম্যাচের ফল যদি একটু এদিক-ওদিক হত তাহলেই বাদ পড়ার আশঙ্কা ছিল পেরুর সামনে।
যদি ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডর ম্যাচ জিততো, তাহলে তাদের পয়েন্ট হতো ৫ করে। ওদিকে পেরুর সমান ৪ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ফলে ছিটকে যেতে হত পেরুকে। যদিও সে অঙ্ক আর কাজে আসেনি।
৪৮ মিনিটের গোলটি পেরুর জন্য স্বস্তির হয়ে দাঁড়ায়। আর ব্রাজিলের বিপক্ষে ইকুয়েডর গোল করাটাই ভেনেজুয়েলার দুঃখ বাড়িয়েছে দিয়েছে বেশি। কারণ, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ইকুয়েডর সমতায় ফেরা মানেই পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে ঠাঁই ভেনেজুয়েলার।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তখন জিততেই হতো ভেনেজুয়েলাকে। সে জন্য অন্তত দুই গোল করতে হতো তাদের; কিন্তু এদিন ভেনেজুয়েলা আর গোলের দেখা পায়নি। ফলে গ্রুপ পর্বে সবার শেষে অবস্থান করে এবারের কোপা আমেরিকা থেকে বিদায় নেয় ভেনেজুয়েলা। গ্রুপে দুই নম্বর হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করে পেরু। চার ম্যাচে তাদের পয়েন্ট সাত।