কলকাতার অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী অসুস্থ। প্রশ্ন উঠেছে, ভুয়া শিবিরে ভুয়া করোনা টিকা নেওয়ার ফলেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল কিনা?
মিমি জানান, তার রক্তচাপ নেমে গেছে। পেটে যন্ত্রণাও হচ্ছে। শরীরে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল।
শনিবার সকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। ভোর ৪টা থেকে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ভোর ৬টায় চিকিৎসক আমার বাড়ি আসেন।’’
চিকিৎসক আপাতত মিমিকে সারা দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। ফোন থেকে থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত অভিনেত্রী।
গত বৃহস্পতিবার মিমি বলেন, ‘‘পৌরসভার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা জলে গুলে দেওয়া হয়েছে। পেট এবং মূত্র সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এটা খুবই কড়া ওষুধ। পানিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না বলে জানালেন চিকিৎসক।’’
ভুয়া প্রতিষেধক নেওয়ার পর শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে সনদপত্র চেয়েছিলেন মিমি। তখন তারা জানান, অভিনেত্রীর মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেওয়ার সনদ এসে যাবে।
কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও সনদ না পাওয়ায় শিবিরের আয়োজকদের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন মিমির সহকারী। তাতেও কোনো উত্তর না পেয়ে অভিনেত্রী যোগাযোগ করেন স্থানীয় থানায়। এরপরই জানা যায়, প্রতারিত হয়েছেন মিমি।