জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ তারই হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতেই দাফন করার দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
সোমবার সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় সবার সামনে এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমার স্বামী নুহাশ পল্লীর কথা বারবার বলে গেছেন। তিনি বলেছেন, আমার যদি কিছু হয়, তবে আমার লাশ দাফন নিয়ে টানাটানি হবে। তুমি আমাকে নুহাশ পল্লীতে নিয়ে যাবে।
অন্য কোথাও নিয়ে গেলে তিনি ভয় পাবেন জানিয়েছেন বলেও তার দাবি।
এসময় অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তাকে সান্ত্বনা দেন এবং বলেন তার কথামতোই সবকিছু করা হবে।
এদিকে, জনপ্রিয় এই কথা সাহিত্যিককে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হচ্ছে না বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। তাকে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।
রোববার দুপুরে হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এমনটাই জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে হুমায়ন আহমেদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে তার মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে। দুপুর আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর মরদেহ রাখা হবে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
উল্লেখ্য, ঢাকার অদূরে গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদ নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন নুহাশপল্লী। প্রাকৃতিক নৈস্বর্গ নুহাশপল্লী হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব নাটক-সিনেমার অন্যতম স্যুটিং স্পট। লালরঙা মাটির পাহাড়িয়া ঢঙে সবুজ গালিচার বনের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে প্রায় চল্লিশ বিঘাজুড়ে সবুজ গাছ-গাছালির মাঝে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন স্কাল্পচার, থাকার ঘর, বসার ঘর, বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস, দিঘি লীলাবতী।
কিছুদিন আগেও চিকিৎসা বিরতির সময় দেশে এসে নুহাশ পল্লীতে অবস্থান করেন সদ্য প্রয়াত এ লেখক। অনেকেরই ধারনা এই নুহাশ পল্লীতেই দাফন করা হতে পারে হুমায়ূন আহমেদকে।