বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ববাজারে হালাল ফুডের বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হালাল পণ্যের বাজার সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হালাল ফুট উৎপাদন করতে সক্ষম।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ‘স্পট লাইট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মিনিস্টার ইন চার্জ অব ট্রেড রিলেশনস এস. ইসওয়ারান’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের নতুন প্রযুক্তি ও সহযোগিতা হালাল ফুড উৎপাদনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বাণিজ্য সচিব। বাংলাদেশ যৌথভাবে হালাল ফুড উৎপাদনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিউচুয়াল রিকগনিশন, সার্টিফিকেশন এবং কোয়ালিটি নিশ্চিত করে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হালাল পণ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জন করে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ সইয়ের মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণের চেষ্টা করছে। সিঙ্গাপুর এ ধরনের অনেক বাণিজ্যচুক্তি সম্পাদন করেছে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।’
এ সময় সিঙ্গাপুরের ট্রেড রিলেশনস মিনিস্টার যৌথভাবে বাংলাদেশে হালাল ফড উৎপাদন, বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রফতানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের অফিস, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সেবা প্রদান ডিজিটাল করা হয়েছে। সেখানে অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রফতানি সহজ করতে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনন্ডোজ চালু করেছে। সরকার পটুয়াখালীতে নতুন আধুনিক পায়রা সমুদ্র বন্দর চালু করেছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে আধুনিক করা হয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে এবং চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে।’