কঙ্গনা আছেন কঙ্গনাতেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিত্যনতুন বিতর্ক উসকে দিতে সত্যিই তাঁর যেন জুড়ি নেই। সাম্প্রতিক অতীতে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এমনকী, তাঁর টুইটার হ্যান্ডলটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবু আজও নিজের মনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে কোনও দ্বিধায় ভোগেন না তিনি। এবার তিনি দাবি তুলেছেন, এদেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে সরিয়ে কেবলমাত্র ‘ভারত’-ই রাখা হোক। তাঁর মতে, ‘ইন্ডিয়া’ আসলে ব্রিটিশদের দেওয়া ‘স্লেভ নেম’ অর্থাৎ একদা শাসকদের করা ক্রীতদাসের নামকরণ। এতে কোনও গৌরব নেই।
টুইটারে তিনি আর নেই। তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের ভারতীয় সংস্করণ ‘কু’-তে রয়েছেন। আর সেখানেই নিজের এই নয়া মতামত তুলে ধরেছেন ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি?
তাঁর মতে, ‘‘ভারতের উত্থান তখনই সম্ভব যখন এর শিকড়ের সঙ্গে প্রাচীন আধ্যাত্মবাদ ও জ্ঞানের যোগ থাকবে। এটাই আমাদের মহান সভ্যতার আত্মা। বিশ্ব আমাদের দিকে উঁচু নজরে তাকাবে এবং আমরা বিশ্বনেতা হিসেবে উঠে আসতে পারব। যদি আমাদের নগরকেন্দ্রিক উন্নতি হয়। তা বলে সেটা যেন পশ্চিমী দুনিয়ার অক্ষম অনুকরণ না হয়। বরং বেদ, গীতা ও যোগাসনের শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আমরা কি এই দাসত্বের নাম ‘ইন্ডিয়া’কে বদলে ‘ভারত’ করে দিতে পারি না।’’
কেবল এইটুকুই নয়, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কঙ্গনা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডাস ভ্যালি’ তথা সিন্ধু উপত্যকা থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ। তাঁর বক্তব্য, কেবল জন্মের হিসেবে কারও নাম রাখা যায় না। বরং ভারত নামের মধ্যে রয়েছে আলাদা অর্থ। ‘ভা’ অর্থে ‘ভাব’, ‘র’ অর্থে ‘রাগ’ ও ‘ত’ অর্থে ‘তাল’।
কঙ্গনার এমন পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করে জানিয়েছেন তাঁদের মত। একজন লিখেছেন, কেবল নাম পালটে দিলেই কোনও দেশ পালটে যায় না। যতক্ষণ না দেশের মানুষ ও তাঁদের মনোভাব বদলাচ্ছে ততক্ষণ দেশ বদলাবে না। আর এক জন কটাক্ষ করে লেখেন, সামান্য সংস্কৃত জ্ঞান ও পৌরাণিক ভারত সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কঙ্গনা বুঝতে পারবেন দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পুত্র ‘ভরত’-এর নাম থেকেই দেশের নাম হয়েছে ভারত।
আরও অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। গত মে মাসে টুইটার থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরও বিতর্ক উসকে দিতে তাঁর যে কোনও অনীহা নেই, তা প্রমাণ করে দিচ্ছে এই নয়া পোস্ট।