দেশে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আড়াই সহস্রাধিক: অর্থমন্ত্রী

দেশে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আড়াই সহস্রাধিক: অর্থমন্ত্রী

দেশে আড়াই হাজারের ওপরে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রোববার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) আয়োজিত ‘ক্ষুদ্র ঋণখাতের জন্য আমানতকারী নিরপাত্তা তহবিল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমআরএ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬০০ হলেও দেশে আড়াই হাজারের ওপরে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।

এমআরএর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাজহারুল হকের সভাপাতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশে ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ ও ব্যাপকতা বেড়েছে। ১৯৮৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪ শতাংশ, যা বেড়ে বর্তমানে হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি।” তবে ক্ষুদ্র ঋণের সংজ্ঞা পুনর্ববিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে ব্যাংকের কৃষি ঋণকে বিবেচনা করা হয়, যেটা ঠিক না। আমি এর বিরোধিতা করি।”

অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংক আমানত বীমা এ মুহূর্তে এক লাখ টাকা, এটা বাড়ানো উচিত। তবে বেড়ে কী পরিমাণ হবে তা তিনি স্পস্ট করেননি।

অর্থমন্ত্রী ফরেন এক্সচেঞ্জ ইন্স্যুরেন্স আবারও চালু করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “১৯৮২ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইন্স্যুরেন্স চালু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সরকার তা বন্ধ করে দেয়। আবার চিন্তা করার সময় এসেছে। বেসরকারি খাত গতিশীল হয়েছে। তাদের অনেক ঋণ লাগছে। তাই ফরেন এক্সচেঞ্জ ইন্স্যুরেন্স আবার চালু করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।”

অর্থ বাণিজ্য