বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদনে লোডশেডিং ‘শূন্য’

বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদনে লোডশেডিং ‘শূন্য’

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এর ফলে রোববার চাহিদার সর্বোচ্চ সময়ে কোনো লোডশেডিং হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী রোববার রাতে  বলেন, এদিন ৬ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াটই উৎপাদন হয়েছে।

“এর ফলে পিক আওয়ারে (বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা) কোনো লোডশেডিং দিতে হয়নি,” বলেন তিনি।

একদিন আগেই সর্বোচ্চ ৬ হাজার ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়। রোববার সে রেকর্ড ভেঙে দেশের ইতিহাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন হল।

শনিবারের আগে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড ছিল গত ২০ মার্চ। ওই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৬ হাজার ৬৬ মেগাওয়াট।

রোজায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কথা সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রোজার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘পর্যাপ্ত’ রাখতে ওই সময় দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে।

ওইদিন উপদেষ্টা বলেন, “সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে রোজার সময় প্রয়োজনে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াটই উৎপাদন করব আমরা।”

সরকারের হিসেবে, দেশে বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা প্রায় সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট হলেও ‘ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট’র মাধ্যমে তা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াটে সীমিত রাখা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেছে। এরমধ্যে ২৯টি কেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চুক্তি করা আরো ১৯টি কেন্দ্রও বর্তমান সরকারের সময় উৎপাদনে এসেছে।

পিডিবির হিসাবে, বর্তমান সরকারের সময় নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।

অর্থ বাণিজ্য