অলিম্পিক মিশনে দিপিকা কুমারী

অলিম্পিক মিশনে দিপিকা কুমারী

অলিম্পিকে পদকজয়ীদের সংখ্যা ভারতে খুব একটা নেই। অভিনব বিন্দ্রা, লিয়েন্ডার পেজ, ভিজেন্দর সিং, সুশিল কুমার, সানিয়া মির্জা, সানিয়া নেহওয়াল… সংখ্যাটা খুব বড় নয়। তাদের তালিকায় নতুন যোগ হতে পারেন আর্চার দিপিকা কুমারী। তার কাছ থেকে এবার অলিম্পিক পদক আশা করা হচ্ছে।

ঝাড়খন্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা দিপিকার বয়স মাত্র ১৮। কিন্তু আর্চারিতে তার অর্জন কারো চেয়ে কম নয়। ২০১০ সালে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জেতেন দিপিকা ব্যক্তিগত এবং দলগত রিকার্ভ ইভেন্টে। ২০০৬ সালে মেক্সিকোর মেরিডাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও স্বর্ণপদক জেতেন ঝাড়খন্ডের এই মেয়ে।

২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওগডেনে অনুষ্ঠিত ১১তম ইয়ুথ ওয়ার্ল্ড আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে দলগত ইভেন্টে দোলা ব্যানার্জী ও বোম্বায়ালা দেবির সঙ্গে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন ১৫ বছর বয়সী দিপিকা কুমারী। ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে দলগত ইভেন্টে চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী ভারতীয় দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। আর সর্বশেষ এ বছরের মে’তে তুরস্কের আন্তালয়াতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কাপে ব্যক্তিগত ইভেন্ট রিকার্ভে স্বর্ণ জেতেন অটো রিক্সা চালক বাবার কন্যা দিপিকা।

আর্চারি মানেই দক্ষিণ কোরিয়াসহ পুর্ব এশিয়ান দেশগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু তাদেরকে পেছনে ফেলে নারীদের রিকার্ভ আর্চারিতে র‌্যাঙ্কিংসেরার গৌরব অর্জন করেছেন ভারতের দিপিকা কুমারী। লন্ডন অলিম্পিকে তার ক্যাটাগরিতে পদক আশা করতেই পারে ভারত। দেশবাসির মুখ উজ্জল করতে শেষ মূহুর্তের অনুশীলনে থাকা দিপিকা বলেন,‘প্রতিটি ক্রীড়াবিদের মতো আমিও অলিম্পিকে পদক জিততে চাই। আমার সবমনোযোগই এখন অলিম্পিক ঘিরে। কোচের অধীনে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমি।’

খেলাধূলা