করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় বিশ্বের গরিব দেশগুলোকে ১শ’ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার অঙ্গিকার করেছে জি-৭। যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে তিন দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে এ অঙ্গিকার করেন ধনী দেশগুলোর নেতারা। এসময় তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা বিকাশে কাজ করবে জি-৭। এছাড়া সারাবিশ্বে পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনার কথা জানান তারা। জি-৭ এর লক্ষ্য বিশ্বে ৪০ মিলিয়ন মেয়ে শিশুকে স্কুলমুখি করা।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্ববাসিকে কয়লাভিত্তিক কোন প্রকল্প হাতে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭। জোটের নেতারা বলছেন জি-৭ দেশগুলো কয়লাভিক্তিক যেকোন প্রকল্প থেকে সরে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় অন্য দেশগুলোরও এখনই সরে আসা উচিত।
সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জি-৭ এর ভূমিকা। এসময় জি-৭ নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তায় অর্থায়ন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। বলেন প্রতিবছর ১শ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে এ জোট। ২০০৯ সালে জাতিসংঘের এক বৈঠকে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিবছর ১শ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু তা পালন করেনি ধনী দেশগুলো। প্রতিশ্রুত সে অর্থ প্রদানের ঘোষণা এসেছে এবারের জি-৭ সম্মেলন থেকে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে জি-৭।
এদিকে সম্মেলন শুরুর সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন, ব্রিটিশ লেখক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা স্যার ডেভিড অ্যাটনবারা। এসময় তিনি বলেন, মানবজাতি পুরো গ্রহকে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলছে। এই সংকটময় মুহূর্তে জি-৭ নেতারা যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কোন ভালো পদক্ষেপ নেন তা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে জি-৭ সম্মেলন চলার সময় লন্ডনের নানা স্থানে বিক্ষোভ করেছেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল ধনী দেশগুলো যেন তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। ১১ জুন থেকে ১৩ পর্যন্ত চলে এবারের জি-৭ সম্মেলন।
সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান