দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে করে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শতভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না।
দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর আজ রোববার (১৩ জুন) পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৭০ হাজার ১৮২ ডোজ। যার পুরোটাই দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এখন পর্যন্ত দেশে এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। সেই অনুযায়ী এখন মাত্র ১ লাখ ২৯ হাজার ৮১৮ ডোজ ভ্যাকসিন অবশিষ্ট আছে।
রোববার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ৪২ লাখ ৫০ হাজার ১৬৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৭ জন, আর নারী ১৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩০ জন। অর্থাৎ দুই ডোজ মিলিয়ে ১ কোটি ৭০ হাজার ১৮২ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের মাধ্যমে। সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। প্রতিমাসে সেখান থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা যে পরিমাণ মজুত আছে তাতে করে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে শিগগিরই দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা।