করোনা মহামারি দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই মাহামারিতে প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ। শতচেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার।
সবশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬১ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ১০ হাজার ২০৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জন।
রবিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৩ জন আর ৬ লাখ ১৫ হাজার ৪০ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৯৪ লাখ ২৪ হাজার ৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৮ জন।
ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৮ জনের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮১০ জন, রাশিয়ায় ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৪ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮২ জন, তুরস্কে ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৫ জন, স্পেনে ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ২২ হাজার ২৯৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১০ হাজার ৪০৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ২৬ হাজার ৭৩ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৮৯৬ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৬ হাজার ৯৭৬ জন, তুরস্কে ৪৮ হাজার ৬৬৮ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৫০১ জন, জার্মানিতে ৯০ হাজার ৪৫৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২৯ হাজার ৮২১ জন মারা গেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।