চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ফের বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ৫৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার।
আজ (শুক্রবার) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজার ৩৪২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দুই হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৫৩ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার ৪০৯ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৮ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার ১৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৫ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৬৭ জন, রাশিয়ায় ৫১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৬ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৮ জন, তুরস্কে ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৮ জন, স্পেনে ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৮ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৬১৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।