বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে প্রত্যাবর্তন না করা গেলে এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করবে। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (৯ জুন) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ সহযোগিতা চান।
প্রতিমন্ত্রী জাপানি রাষ্ট্রদূতকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারে তাদের প্রভাব খাটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও কাজে লাগানোর অনুরোধ করেছেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেশটির অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও ঢাকা ও টোকিও’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, করোনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়।
শাহরিয়ার বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি সবার জন্য এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জিং সময় সৃষ্টি করেছে। তিনি জাপান সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রতিমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত নানান উদ্যোগের বিষয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য জাপানের কাছ থেকে সহায়তা চান।
রাষ্ট্রদূত ইতো শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, বিশেষ করে করোনা চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) উদ্যোগ জাপানের মানসম্মত অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে এবং বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। আর এটি আঞ্চলিক যোগাযোগকে জোরদার করবে বলেও উল্লেখ করেন শাহরিয়ার।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রদান করে রাষ্ট্রদূত ক্লিন এনার্জিতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা জানান।
১৯৭৩ সালে দুই দেশের মধ্যে রচিত কূটনৈতিক সম্পর্ক আগামী বছর পূর্ণ হচ্ছে। উভয়পক্ষ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালনে সম্মত হয়েছে।