ইসরায়েলি পর্যটক হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটনে গলদর্ঘম হচ্ছে বুলগেরিয়া পুলিশ, এফবিআই এবং ইন্টারপোলের তদন্তকারীরা।
হামলার দু’দিন পার হয়ে গেলেও বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন তদন্তে হামলাকারীর পরিচয় বা হামলার মোটিভ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। ‘হামলাকারী বুলগেরীয় নাগরিক নয় এবং তিনি চার দিনের বেশি বুলগেরিয়ায় অবস্থান করেননি’ শুধু এটুকুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি। নিহত হামলাকারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার বুলগেরিয়ার একটি বিমান বন্দরে পরিচালিত আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয় ৬ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে ৫ জনই ইসরায়েলি নাগরিক। বুলগেরিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর নগরী বুরগাসের বিমান বন্দরে ইসরায়েলি পর্যটকবাহী একটি বাস লক্ষ করে এ হামলা চালানো হয়।
তদন্তকারীরা সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারীর একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এই হামলায় ইসরায়েলি পর্যটকদের পাশাপাশি বাসটির বুলগেরীয় চালকও নিহত হয়।
তদন্তকারীরা বর্তমানে বিস্ফোরকের ধরণের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত চালাচ্ছে। এ রকম হামলা বুলগেরিয়ার মাটিতে এই প্রথমবারের ঘটলো বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইসরায়েল ও বুলগেরিয়ায় নিহত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিস্ফোরণে কমবেশি ৩০ ব্যক্তি আহত হয়। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুলগেরিয়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ছুটি কাটাতে আসা সাধারণ পর্যটকের বেশেই দেখা গেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে সম্ভাব্য হামলাকারীকে ৩৬ বছর বয়স্ক মনে হয়। হামলাকারীর কাছে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুযায়ী হামলাকারী জ্যাক ফেলিপ মার্টিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা। পরবর্তীতে অবশ্য এ পরিচয় পত্রও ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
তেল আবিব থেকে ওই বিমান বন্দরে অবতরণ করেন ইসরায়েলি পর্যটকরা। পর্যটকরা বাসটিতে তাদের মালপত্র বোঝাই করার সময় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
আর্জেন্টিনার একটি সিনাগগে পরিচালিত হামলায় ৮৫ ব্যক্তির নিহত হওয়ার ১৮ তম বার্ষিকীতে বুলগেরিয়ার এই হামলাটি সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।