প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর একক সিদ্ধান্তে চলছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। তিনি জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন না।
উপদেষ্টা মিটিংয়ে কারো কথা শুনতে চান না। তিনি যা বলেন, তাই বাস্তবায়ন করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামছুল আলম।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া’ শীর্ষক মতবিনিয়ম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শামসুল আলম এ বক্তব্য তার নয় মন্তব্য করে বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও প্লানিং কমিশনের কর্মকর্তারাই তাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন, মিটিংয়ে কোনো বিষয়ে তাদের মতামত নেওয়া হয় না।
শামছুল আলম আরো বলেন, জ্বালানি উপদেষ্টার ভুল পরিকল্পনার কারণে দেশের বিদ্যুৎখাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
জ্বালানি উপদেষ্টা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতেও তিনি তার নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। দেশের ভালো মন্দ না দেখে তিনি ব্যক্তি স্বার্থ সংরক্ষণ করছেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই কনকো ফিলিপসকে সাগরের গ্যাস ব্লক দিতে উঠে-পড়ে লেগেছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা। এর কারণ কি?
কয়লা বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন। সম্প্রতি যমুনা রিসোর্টে ৪ দিন বৈঠক করেছেন। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে এ কাজ করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন শামছুল আলম।
শামছুল আলম বলেন, তৌফিক-ই-ইলাহীসহ সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের যারা ক্ষমতায় বসিয়েছেন, ওই উপদেষ্টারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যে কারণে জ্বালানি খাতকে ব্যক্তিমালিকানায় তুলে দেওয়া হচ্ছে।
কারো নাম উল্লেখ না করে শামছুল আলম বলেন, ৪০ বছর পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে জনগণ। একইভাবে জ্বালানি অপরাধীদের বিচারও এদেশের মানুষ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামছুল আলম বলেন, ‘‘আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ন্যায়সঙ্গত হবে না। আমরা সরকারকে দাম বাড়নো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
ক্যাবের সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, এভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো বেআইনি। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা ভুল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, অনেক বিকল্প ব্যবস্থা আছে। সরকার সেদিকেও যেতে পারে। তারা তা না করে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।