ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে টাকা নিলেও প্রভাব পড়বে না: ফজলে কবির

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে টাকা নিলেও প্রভাব পড়বে না: ফজলে কবির

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হলেও ব্যাংক খাতে এর প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। শুক্রবার (৪ জুন) ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ করার পরেও বর্তমানে থাকা তারল্যের পরিমাণ এখনও ৪০ হাজার কোটি টাকা।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছিল ৭৩ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। করোনার মধ্যেই আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সংযুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নতুন বছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটের এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর