তুরস্কের বিমান হামলায় ২৩জন কুর্দি নিহত হয়েছেন। ইরাকের সীমান্তবর্তী এক কুর্দি গ্রামে এ বিমান হামালা চালানো হয়। কুর্দিশ পিস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি পার্টির (বিডিপি) পক্ষ থেকে হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাউন্সিলর এরতান এরিশ কুর্দিশ রোজ টেলিভিশনকে বলেন, ‘সিরনাক প্রদেশের অরতাসু গ্রামে ২৩টি মৃতদেহ খুঁজে পায় প্রাদেশিক কর্মকর্তারা। নিহতদের মধ্যে ১৯জনকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।’
এরিস আরও জানায়, ‘নিহতরা সবাই একটি গ্রুপের সদস্য। এদের সবার সয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে মালামাল পাচার করছিলো।’
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানায়, ‘একটি গ্রুপ গ্যাস এবং চিনি পাচার করে নিয়ে আসছিলো উত্তর ইরাক থেকে। তাদেরকে বিদ্রোহী ভেবেই হামলা চালানো হয়েছে।’
১৯৮৪ সালে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) জন্ম। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই এই পার্টির জন্ম হয়। যদিও আঙ্কারা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই সংগঠনটিকে গোড়া থেকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে।
এরিস আরও জানায়, ‘মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তুষার এবং বিপদসঙ্কুল পথের কারণে মৃতদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না।’