মামুনুর রশীদ একাধারে অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, সংগঠক, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব। টিভিমিডিয়া এবং মঞ্চ, দুই জায়গায় সাফল্য তিনি দেখিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন আরণ্যক নাট্যদল, নেতৃত্ব দিয়েছেন মুক্ত নাট্য আন্দোলনের। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় পালন করেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এবার প্রথমবারের মতো মঞ্চে আসছে মামুনুর রশীদের একক অভিনয়ে নাটক ‘ডিসটেন্ট নিয়ার’।
‘ডিসটেন্ট নিয়ার’ নাটকটি রচনা করেছেন শহিদুল মামুন আর নির্দেশনা দিয়েছেন ফয়েজ জহির। নাটকটি মঞ্চে এনেছে বাংলাদেশের প্রথম পেশাদারি নাট্যদল বাংলা থিয়েটার। এ বছরের ১৪ আগস্ট নাটকটির প্রথম ওয়ার্মআপ স্টেজ শো করা হয় বৃটিশ কাউন্সিল মিলানায়নে। এরপর এডিনবরা, লন্ডন ও অক্সফোর্ডে নাটকটি প্রদর্শন করে বাংলা থিয়েটার। বাংলাদেশে এবারই প্রথম এ নাটকের পাবলিক শো হতে যাচ্ছে। জাতীয় নাট্যশালার এক্্রপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ৩০ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মঞ্চস্থ হবে ডিসটেন্ট নিয়ার।
নাটকটি প্রসঙ্গে নাট্যকার শহিদুল মামুন বাংলা নিউজকে বলেন, এ নাটকের মধ্য দিয়ে শেক্্রপীয়ারের সাথে রবীন্দ্রনাথের যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে এবং আগামী ২০১৬ সালে শেক্্রপীয়ারের জন্মের ৪০০ বছর পূর্ণ হবে। তাই বিশ্বের অমর দুই শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ বছর আমাদের এই আয়োজন।
ডিসটেন্ট নিয়ার নাটকে শেক্্রপীয়ারের অংশটুকু ইংরেজিতে এবং রবীন্দ্রনাথের অংশটুকু বাংলায় অভিনয় করা হয়েছে। একে তো একক অভিনয়ের নাটক, তার উপর ইংরেজিতে নাটকের অংশবিশেষ। এ অবস্থায় নাটকটি বাংলাদেশের দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে। তাই আমাদের দেশেও ভিন্ন ভাষায় নিয়মিত নাটক করা যায় কিনা এই নাটকের মধ্য দিয়ে নিরীক্ষা চালাচ্ছি। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে মঞ্চায়ন করতে গেলে এর ভাষাগত পরিবর্তন করা হবে কিনা জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা এখনো ভাবিনি। তবে নাটক যেহেতু দর্শকের জন্যই মঞ্চায়ন করা তাই দর্শকের প্রয়োজনে নাটকটির ভাষাগত পরিবর্তন আসতেও পারে।
নির্দেশক ফয়েজ জহির বাংলানিউজকে বলেন, ‘ডিসটেন্ট নিয়ার’ নাটকটি ঢাকার নাট্যচর্চায় একটি ব্যতিক্রমী সংযোজন। এই নাটকের মধ্যে দর্শক প্রচলিত ধারার বাইরে একটু ভিন্নতার স্বাদ পাবে। নাটকটিতে বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সঙ্গত কারণেই। আমরা নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করেছি ইংল্যান্ডে। সেখানে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এটি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের থিয়েটার দর্শকেরাও নাটকটিকে বেশ ভালভাবেই গ্রহণ করবে।