এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতার হারসহ সব সূচকেই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে।
শনিবার (১৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই সপ্তাহের (২-৮ মে ১৮তম সপ্তাহ ও ৯-১৫ মে ১৯তম সপ্তাহ) তুলনামূলক বিশ্লেষণে করোনায় মৃত্যু ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, নতুন রোগী শনাক্ত ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং সুস্থতা ৩৪ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে।
অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৮তম সপ্তাহে এক লাখ ২৯ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ১১ হাজার ৫৪৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ২২ হাজার ১৬২ জন সুস্থ এবং ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়।
এপিডেমিওলজিক্যাল ১৯তম সপ্তাহে ৮৮ হাজার ৩০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে সাত হাজার ৬৬৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত, ১৪ হাজার ৬০৭ জন সুস্থ এবং ২৪৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ১২৪ জনে। এ সময়ে নতুন রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬১ জন। সবমিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন সাত লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিভিন্ন ল্যাবরেটরীতে তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চল্লিশোর্ধ চারজন, পঞ্চাশোর্ধ ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন মারা যান। বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে আটজন ও খুলনা বিভাগে একজন মারা যান।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।