একদিনে মৃত্যু সাড়ে ১২ হাজার, আক্রান্ত প্রায় ৭ লাখ

একদিনে মৃত্যু সাড়ে ১২ হাজার, আক্রান্ত প্রায় ৭ লাখ

একদিনে প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৮৩২ জনে। আর এদিন বিশ্বে মারা গেছেন মোট ১২ হাজার ৫১১ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত ও সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ভারতে। শুক্রবার ভারতে নতুন রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার ১২৩ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৪৩ জন, মারা গেছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জন।

দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় ভারতের পরেই অবস্থান করছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম এই দেশটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৪৮৬ জন, , মারা গেছেন ২ হাজার ১৮৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ ২১ হাজার ৩১৩ জন, মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৫ জন।

মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমশ কমে আসছে এ রোগে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই তালিকায় বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই দেশটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৫৬ জন, মারা গেছেন ৭২২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮৪ জন, মারা গেছেন মোট ৫ লাখ ৯৯ হাজার ২০৩ জন।

একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা চতুর্থ শীর্ষস্থানীয় দেশটির নাম আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৬৩ জন, মারা গেছেন ৫৯৯ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আর্জেন্টিনায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৬ জন, মারা গেছেন ৬৯ হাজার ৮৫৩ জন।

করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৮১৭ জন, মারা গেছেন মোট ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ জন।

অবশ্য প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও কম নয়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭০২ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২০ সালের প্রথম সাত-আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর ওই বছরের শেষ দিকে কিছুটা কমে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাজারে এসে যাওয়ায় গণটিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

তবে গত মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ফের ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দক্ষিণ এশিয়া।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর