ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। সোমবার (১০ মে) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১১ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
গত ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। স্বাভাবিক সময়ে একদিনে ১১-১২ হাজার যানবাহন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে। বতর্মানে প্রায় চারগুণ যান পারাপার হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কে দূরপাল্লার বাস নেই। তবে চাপ রয়েছে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের। এ সব যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করেছে সরকার। তবে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে বাধা নেই।
সকাল থেকে সড়কে উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মুরগির খাচার ওপর বসে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে গাদাগাদি করে ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে ফিরছে মানুষ। দুর্ঘটনা ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ফিরছে তারা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) ইয়াসির আরাফাত জানান, যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস না চললেও ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের চাপ রয়েছে।