সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের দেওয়া রুলিং নিয়ে দায়ের করা একটি রিট শুনতে চাননি হাইকোর্ট। আদালতের একটি বেঞ্চ এ ঘটনায় বিব্রত বোধ করেছেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বুধবার বিকেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি জানান, ‘হাইকোর্টের একজন বিচারপতি সংবিধান লংঘন করেছেন’ বলে ১৮ জুন দেওয়া স্পিকারের রুলিংকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এ কে এম সাইফুদ্দিন। রিটটি বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে নিয়ে যাওয়া হলে বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন এবং এর শুনানি গ্রহণে অপারগতা জানান। রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজি হননি রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
রিটটি অন্য কোনো বেঞ্চে নেওয়া সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের জবাবে এম কে রহমান জানান, তা সম্ভব। তবে বুধবার অন্য কোনো বেঞ্চেই রিটটি নেওয়া হয়নি বলে জানান এই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল।
প্রসঙ্গত, ২৯ মে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সড়ক ভবন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্যরা। এনিয়ে ৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী কিছু মন্তব্য করেন। একই দিন সংসদে কয়েকজন সদস্য এর তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ওই বিচারপতিকে অপসারণের দাবি জানান। এর ১৩ দিনের মাথায় ১৮ জুন সোমবার স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট সংসদে একটি রুলিং দেন।
রুলিংয়ে স্পিকার বলেন, ‘আদালতের এ ধরনের আচরণে কী করণীয় থাকতে পারে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সে বিষয়টি ভেবে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে। এর ফলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা হয়তো সম্ভব হবে।’
ওই রুলিংকে চ্যালেঞ্জ করেই আইনজীবী একেএম সাইফুদ্দিন বুধবার রিট আবেদনটি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদের কার্যধারার বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। ৭৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংসদে বা সংসদের কোনো কমিটিতে কিছু বলা বা ভোট দানের জন্য কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে কার্যধারা গ্রহণ করা যাবে না।