সিরাজগঞ্জে স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় কনস্টেবলসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জে স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় কনস্টেবলসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চাঞ্চল্যকর ২শ’ ২১ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের ৪ কনস্টেবলসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) বিচারক উম্মে কুলসুম বুধবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে এ রায় দেন।

পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি দু’জনের প্রত্যেককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনের সাবেক কনস্টেবল ওয়াসিম হোসেন ওরফে ওয়াসিম বাবু (পরিচয় নং-৬১৯), শাহনেওয়াজ ওরফে সুমন (পরিচয় নং-৩৩৪), রাজু আহম্মেদ (পরিচয় নং-৭৬৮), গোলাম রব্বানী (পরিচয় নং-৫৭৫)।

এছাড়া, বগুড়া জেলা সদরের শাখাবাড়িয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান (৩৫) ও ঠেঙ্গামারা দক্ষিণপাড়ার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে দৌলত জাহান (৪২)।

রায় ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ও তাদের স্বজনদের আহাজারি শুরু হলে তাৎক্ষণিক সবাইকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৪ জুন ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা থেকে বগুড়াগামী টি.আর. ট্রাভেলসের একটি বাস ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের রায়গঞ্জ উপজেলাধীন হাইওয়ে ভিলা নামক একটি খাবারের হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। এ সময় পুলিশের কনস্টেবল ৩ জন সরকারি পোশাকে ও একজন সাদা পোশাকে বগুড়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রায়হান আলীকে জোরপূর্বক বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে পথিমধ্যে অস্ত্রের মুখে তার কাছে থাকা ২২১ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ছিনতাইকারী ৪ কনস্টেবল বগুড়ার অপর দু’ব্যক্তির সহায়তায় স্বর্ণগুলো বিক্রি করে।

এ ঘটনার পর ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী গত ১২ আগস্ট রায়গঞ্জ থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল পরে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করে।

এদিকে, পুলিশ কনস্টেবল ওয়াসিম বাবুকে চিহ্নিত করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ডিবি পুলিশের কাছে বাকিদের নাম বলে দেয়। তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী ৩ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইন এবং অপর ২ জনকে বগুড়া থেকে আটক করা হয়।

মামলা পরিচালনায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্দুর রহমান রানা ও অতিরিক্ত পিপি সিরাজুল হক। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. জেবুন্নেছা জেবা রহমান।

অন্যান্য