জাপানকে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি বিনিয়োগের আহবান

জাপানকে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি বিনিয়োগের আহবান

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহযোগিতা ছাড়াও জাপানকে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

আর্থ-সামজিক বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তায় ফার্মাসিউটিক্যালস্, সিরামিক, টেক্সটাইল, অ্যাপারেলস অ্যান্ড গার্মেন্টস্ ও লেদার প্রোডাক্টস খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। এছাড়া জাপানকে বাংলাদেশ থেকে উন্নতমানের পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প, গার্মেন্টস্, কেমিক্যালস্, লেদার এবং আইটি প্রোডাক্টস্ প্রতিযোগিতা মূল্যে আমদানির করারও আহবান জানান মন্ত্রী।

বুধবার শিল্পমন্ত্রণালয়ে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন’র (JETRO) চেয়ারম্যান ও জাপানের প্রাক্তন সহকারি ভাইস মিনিস্টার হিরোইকি ইস্হিগে (Hiryuki Ishige) শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে  সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ আহবান জানান।

জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JETRO) এর চেয়ারম্যান ও জাপানের প্রাক্তন সহকারি ভাইস মিনিস্টার হিরোইকি ইস্হিগে (Hiryuki Ishige) বুধবার দুপুরে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সাথে সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পমন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাধুসিমা (Shiro SADOSHIMA) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকার দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন। তাছাড়া ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর এবং এ বছর জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারিদের শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নখাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। জাপানি বিনিয়োগকারিরা বাংলাদেশে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারে।”

জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা উন্নয়ন সহযোগী।” মন্ত্রী পদ্মা সেতুসহ যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে জাপানকে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে ৫টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক জোনে জাপানি বিনিয়োগকারিগণ বিনিয়োগের আনুসঙ্গিক অবকাঠামোগত সুবিধা পাবেন। তাছাড়া জাপানের বিনিয়োগকারিদের জন্য একটি পৃথক ইকোনোমিক জোন স্থাপন করা যেতে পারে।”

হিরোইকি ইস্হিগে বলেন, “বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি এবং পরিশ্রমী জনবল রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে ইতিবাচক অবদান রাখবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের শিল্পায়নের জন্য জাপানের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দু’দেশই লাভবান হবে।” ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জাপান নিজেদের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থ বাণিজ্য