দলীয় রান যখন ৫২ তখন তামিমের রান ৫০। ভিশ্ব ফারনান্দোকে টানা দুই চার মেরে ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার ৫৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চারে।
এর আগে আজ দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে লাকমালের লেন্থবল বুঝেই ওঠেননি সাইফ। তার ব্যাটে ছোঁয়া লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ডিকভেলার গ্লাভসে।
সাইফের ব্যর্থতার পর ব্যর্থ হলেন প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরার নাজমুল হোসেন শান্তও। একওভার পরে লাকমালের জোড়া শিকারে পরিণত হন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রান করা এই ব্যাটসম্যান এবার রানের খাতাই খুলতে পারলেন না।
লাকমালের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন। শান্তর আউটের পর তামিমকে সঙ্গ দিতে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এর আগে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান সংগ্রহের পর মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। এর পর আর ব্যাট হাতে মাঠে ফেরেনি তারা। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট তুলে দেয় লঙ্কানরা।
প্রথম ইনিংসে ৫৪১ করে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। ফলে দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষে ১০৭ রানের লিড নিল শ্রীলংকা।
পঞ্চম দিনের খেলার প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের শিকার ৫ উইকেট।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির একটু আগেই অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলংকার। স্পিনার তাইজুলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে আউট হওয়ার আগেই যা করার করে দিয়ে যান। ৫৫ বলে ৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন এই টেলএন্ডার।
অন্যপ্রান্তে ৩১ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সুরাঙ্গা লাকমাল।
আজ দিনের শুরুতেই সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন। যেখানে গতকাল সারাদিন কোনো উইকেটে নিতে পারেননি। আজ পর পর ওভারে দুটি উইকেট ফেলে দিলেন তিনি।
প্রথমে ডাবল সেঞ্চুরির পথে যেতে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক দিমুথ করুণারতেœকে।
১৫৩.৪ ওভারে একটু দেরিতে ব্যাট চালালেন ধনঞ্জয়া। তার আগেই বল সরাসরি স্ট্যাম্প ভেঙে দেয় তার।
সমাপ্তি ঘটে ধনঞ্জয়ার ২৮৮ বলে ১৬৬ রানের ইনিংসের। সমাপ্তি ঘরে ৩৪৫ রানের পার্টনারশিপের।
নিজের পরের ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরান আড়াইশর পথে হাঁটা লঙ্কান অধিনায়ককে। তাসকিনের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে করুণারতেœর ব্যাট।
এরপর পাথুম নিশাঙ্কাকে ফেরান পেসার এবাদত। ১৫৯.৪ ওভারে এবাদতের ডেলিভারিটি অফস্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। যা ভালোভাবে খেলতে পারেননি নিশাঙ্কা। তার ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে এজ হয়ে সরাসরি চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে।
২৩ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
এরপর রানআউটের শিকার হন নিরোশান ডিকভেলা। ১৬৬তম ওভারের শেষ বলে হাসারাঙ্গা ডি সিলভার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় ডিকভেলার। রানের জন্য ছুটে ক্রিজের মাঝপথে চলে আসেন। ততক্ষণে বোলার মিরাজের হাতে বল। পপিং ক্রিজের ফেরার আর পথ ছিল না ডিকভেলার।
মিরাজের থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ৩৩ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন ডিকভেলা।