আফগানিস্তানের তালেবান নেতা মোল্লা ওমরকে হিট লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
গত মঙ্গলবার সকালে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলছে।
২০০১ সালে আফগানিস্তান অভিযানে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতনের পর এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন সংগঠনটির নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর।
গত মঙ্গলবার সকালে একজন অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোল্লা ওমরের নাম হিট লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।
তবে কোনও নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই খবর এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাময়িকীতে এই খবর প্রকাশের পর কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা এই খবর প্রত্যাখ্যান করেননি। সাময়িকীটি তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, শুধু তাইই নয়, তালেবান নেতা কখনই এফবিআইয়ের হিট লিস্টে ছিলেন না।
এফবিআইয়ের মুখপাত্র পল ব্রেসনও অবশ্য এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেননি। কিন্তু তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তরের বিদেশি সন্ত্রাসী তালিকায় মোল্লা ওমরের নাম ছিল। আর তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, কাতার এবং জার্মানিতে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা সম্প্রতি বৈঠক করেছেন।
সেই সঙ্গে কাতারে তালেবানের লিয়াজো অফিস স্থাপনের ব্যাপারেও একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই প্রথমে এ ব্যাপারে আপত্তি জানালেও গত মঙ্গলবার তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ার হামলার জন্য দায়ী আল কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে- এই দাবিতে সে বছরই আফগানিস্তান আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর অল্প দিনের মধ্যেই তালেবান সরকারের পতন ঘটে।
এছাড়া, গত ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানে নিহত হন আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন।
অবশ্য গত মাস থেকে মার্কিন কর্মকর্তারা আল কায়েদা-তালেবান সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন কথা বলা শুরু করেছেন। তারা বলছেন, আফগান অভিযান ছিল আল কায়েদার বিরুদ্ধে, কোনও ভাবেই তালেবানের বিরুদ্ধে নয়।