উইকেট দেখে দল নির্ধারণ, ঢুকতে পারেন শরিফুল!

উইকেট দেখে দল নির্ধারণ, ঢুকতে পারেন শরিফুল!

সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে একটি ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি হলো শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামের উইকেট খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছেন লঙ্কান কোচ মিকি আর্থুর আর অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে।

ছবিতে আরও দেখা যাচ্ছিল, ক্যান্ডির পিচে সবুজ ঘাসের সমারোহ। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে কৌতূহলি জিজ্ঞাসা, তবে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘাসের উইকেটই বেছে নিতে চাচ্ছে লঙ্কানরা? আর যদি ঘাসের উইকেটে খেলা হয় তাহলে বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে?

মুমিনুল হকের দল একজন পেসার বেশি নিয়ে মূল টেস্ট স্কোয়াড সাজাবে? এমন গুঞ্জন আর অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়নি। গতকাল (সোমবার) রাতেও ঘোষনা হয়নি বাংলাদেশের চূড়ান্ত টেস্ট দল। একজন ব্যাটসম্যান নাকি একজন পেসার কিংবা বাড়তি স্পিনার নিয়ে তৈরি হবে মুমিনুল বাহিনী- তা অজানাই থেকে গেছে।

কেন দল ঘোষণা হলো না? প্রধান নির্বাচক সোমবার সকালে নিগোম্বো থেকে বাসে চড়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্যান্ডি পৌঁছেই দল ঘোষনা। কিন্তু তা আর হলো না। কেন? কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে, ক্যান্ডির সবুজ ঘাসের পিচের সেই ছবি।

পিচের ঘাস তথা সবুজ রুপটাই বদলে দিয়েছে পরিবেশ প্রেক্ষাপট। বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টেও উঁকি দিয়েছে প্রশ্ন, তবে কি ক্যান্ডির পিচে ঘাস থাকবে? টাইগার বধে কি তবে ঘাসযুক্ত উইকেটে পেস বোলিং সহায়ক পিচে খেলতে আগ্রহী লঙ্কানরা? তাহলে আমাদেরও তো পিচ দেখে খেলোয়াড় নেয়া উচিৎ।

এমন ভাবনায় সোমবার দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই ঘোষণা হয়নি টেস্ট স্কোয়াড। ক্যান্ডির পিচের সেই ছবি দেখে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে নিজ চোখে উইকেটের চেহারাটা আগে দেখে নেয়া ভাল।

এখন যদি তাই হয়, তাহলে বলেই দেয়া যায় আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলনে যাওয়ার পরেই হবে দল ঘোষণা। তার আগে নয়। তার মানে টিম বাংলাদেশের প্র্যাকটিস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে টেস্ট দল পেতে।

এদিকে আরও একটি তথ্য আছে। তা হলো ইনজুুরির কারনে এ টেস্টে নেই লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। তাই লঙ্কানরা পেস দিয়ে টাইগারদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা এঁটেছে। সেক্ষেত্রে উইকেট যদি শেষ পর্যন্ত পেস সহায়ক হয়, তাহলে মুমিনুলের দলে একজন বাড়তি পেসারের সংযোজন ঘটতে পারে।

যার ফলে ভাগ্য খুলে যেতে পারে তরুন দ্রুতগতির বোলার শরিফুল ইসলামের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ফাস্ট বোলিং সহায়ক পিচে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শরিফুল অভিষেকেই জানান দিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। কাজেই ক্যান্ডির পিচে শেষ পর্যন্ত ঘাস থাকলে শরিফুলের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা প্রচুর।

সেক্ষেত্রে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোমের দলে থাকার সম্ভাবনা যাবে কমে। আবার শোনা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত ১৬’র বদলে ১৭ জনের দল হতে পারে। তাহলে অবশ্য শুভাগত হোমও হয়তো থেকে যাবেন। না হয় শরিফুল ইন, শুভাগত আউট। দেখা যাক কী হয়?

খেলাধূলা শীর্ষ খবর