আসন্ন মুদ্রানীতি পুঁজিবাজার বান্ধব হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’র (ডিএসই) প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমানকে আশ্বস্থ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে বিবি গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএসইতে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। কয়েকদিন ধরে বাজারে গুজব আছে, আসন্ন মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক হবে। কিন্তু এবারের মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু থাকছে না বলে ড. আতিউর রহমান আমাকে আশ্বস্থ করেছেন।”
রকিবুর রহমান বলেন, “এবারের মুদ্রানীতিতে মুদ্রাস্ফীতি কমানো, জিডিপি গ্রোথ ৭ অর্জন এবং মানি মার্কেটে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর সবদিক বিবেচনা করেই এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। তিনি বলেছেন, ক্ষুদ্র বিনিযোগকারী তথা শেয়ারবাজারে কোনও রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, মুদ্রানীতিতে এমন কিছু থাকবে না।”
ডিএসই প্রেসিডেন্ট বলেন, “ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আয়ের ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। এবারের মুদ্রানীতিতে সেটার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। সুতরাং ব্যাংকগুলো আবার বিনিয়োগ বাড়াবে। তাই, এবারের মুদ্রানীতি পুঁজিবাজার বান্ধব হবে।”
তিনি বলেন, “এবারের মুদ্রানীতি মানি মার্কেটে টাকার সরবরাহ বাড়ানো, মুদ্রাস্ফীতি কমানো এবং পুঁজিবাজারের দিকে খেয়াল রেখে ঘোষণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অস্থিতিশীল পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের প্রয়োজন। কারণ অস্থিতিশীল বাজারে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি একটু বেশি থাকে। বাজার স্থিতিশীল করার জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। ফলে এখন তাদের বিনিয়োগের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এতে বাজারকে যেমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, তেমনি যারা বিনিয়োগ করবেন, তাদেরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
রকিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও বলেছেন, বিকল্প অর্থায়নের একটি বড় মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। তাই যেকোনো মূল্যে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ ধরে রাখতে হবে।”
ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট বলেন, “দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে যমুনা বহুমুখী সেতু কোম্পানিতে রূপান্তর করে শেয়ারবাজার থেকে পদ্মাসেতুর টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে আমি এ সম্পর্কে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করবো। পরবর্তীতে যা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”
এছাড়া বাজারে বন্ড ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তবে তাদের জন্য বিষয়টি অকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।”