আগামী ৮ থেকে ১০ অক্টোবর ডি-৮ শিল্পমন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সময় ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সম্মেলন সফল করতে ডি-৮ সম্মেলন ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে কমিটির প্রথম এ সভা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ সম্মেলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান। সভায় সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সদস্য দেশসমূহের মধ্যে ১১টি শিল্প সেক্টরে সহযোগিতা বৃদ্ধিকল্পে ওয়ার্কিং গ্রুপ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বলে সভায় জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ইস্তাম্বুলের সভায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ডি-৮ দেশসমূহের শিল্পমন্ত্রীদের তৃতীয় সভা বাংলাদেশে আয়োজনের প্রস্তাব করলে তা গৃহীত হয়। এর ফলে ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডি-৮ দেশসমূহের শিল্পমন্ত্রীদের প্রথম ও দ্বিতীয় সভা যথাক্রমে ইরানের তেহরানে ২০১০ সালে ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কমিটির সভায় শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র সচিব মোঃ মিজারুল কায়েসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা প্রধান, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ প্রশাসন, এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই, বিটিএমইএ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, আইসিসি প্রতিনিধি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ডি-৮ উন্নয়নশীল ৮টি দেশ বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ককে নিয়ে গঠিত উন্নয়ন সহযোগিতামূলক সংস্থা। ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুলে সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮ সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের প্রধান প্রধান মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে ডি-৮ ইতিমধ্যে বৈশ্বিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
এ ৮টি দেশের জনসংখ্যা সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বিশ্বের মোট মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। সামগ্রিকভাবে সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতি অত্যন্ত বৃহৎ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ডি-৮ এর প্রভাব এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ সংস্থাটির মূল লক্ষ্যগুলো হলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। শিল্পায়নে সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন ও বহুমুখী সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করা ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অবস্থান উন্নয়ন করা।