ভ্যাকসিন নিয়ে অপরাজনীতি করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন লকডাউন নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
বিএনপির দ্বিচারিতামূলক বক্তব্য মানুষের ঘরে অবস্থানকে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের জানতে চান—তাহলে কি বিএনপি চায় না করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসুক?
বিএনপির নেতারা বলছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই’—এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে কী ভূমিকা পালন করেছে? পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক চর্চা করে তারা এখন গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা সেজেছে।
শেখ হাসিনা সরকার কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা ও দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার যে সংগ্রাম, তা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যতই পেছন থেকে দেশের এগিয়ে যাওয়াকে টেনে ধরে রাখতে চায়, তাতে সফল হবে না, কারণ জনগণ এখন উন্নয়নমুখী। জনগণ বিএনপির পশ্চাৎমুখী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ আগামী বির্নিমাণের রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
অসহায় মানুষের জন্য এরই মধ্যে শেখ হাসিনা সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে, কারণ শেখ হাসিনা জনগণের জন্যই রাজনীতি করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের স্বার্থে কখন কী করতে হবে, তা বঙ্গবন্ধুকন্যা ভালোই বোঝেন, আর এজন্যই তিনি আজ দেশের জনগণের আস্থার ঠিকানা ও নির্ভরতার বাতিঘর।
অপরদিকে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের অসহায়ত্ব নিয়ে রাজনৈতিক বুলি আওড়ে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তারা জনগণকে ভয় পায় বলেই জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস হারিয়েছে।
দেশকে বিএনপিশূন্য করাই সরকারের লক্ষ্য—বিএনপি নেতাদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিশূন্য করা নয়, সরকার চায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুক।
এ ছাড়া ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিএনপি সহিংসতা, ষড়যন্ত্র আর অপরাজনীতি ছেড়ে জনমানুষের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, অপরিণামদর্শী ও জনবিরোধী কর্মসূচির কারণেই বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সাগরে রাডারবিহীন জলযানের মতো। তারা এখন পথহারা পথিক।
ধানমণ্ডি প্রান্তে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদসহ অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।