বিএনপিকে অহেতুক সরকার বিরোধিতার নামে করোনা সংকটে রাজনৈতিক অপপ্রচার বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই জনগণকে তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। তাদের জনগণ ভোট দেয় না বলে সহিংসতা করে এখন জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে।
সেতুমন্ত্রী আজ বৃহষ্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২৬ মার্চ বিএনপির উসকানিতে হেফাজতে ইসলাম যে তান্ডব চালিয়েছিল, তার ১৮ দিন পরে বিএনপি বলছে ২৬ মার্চ সহিংসতার ঘটনা পরিকল্পিত, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও তাই মনে করেন।
তিনি বলেন, সেদিনের এবং পরবর্তী ঘটনাবলী দেশকে অস্থিতিশীল করার এক গভীর চক্রান্ত ছিল এবং তা ছিল পরিকল্পিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পরিকল্পনায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে উসকানি দিয়েছে বিএনপি এবং এ তান্ডবলীলা বিএনপি ও তার দোসরদের পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপি হঠাৎ গত মঙ্গলবার উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর হাস্যকর অপচেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, এ দেশের রাজনীতিতে কে কাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। শাক দিয়ে মাছ ঢেকে কোনো লাভ নেই কারণ জনগণের কাছে সব কিছুই আজ স্পষ্ট।
বিএনপির ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি সম্পর্কে এ দেশের জনগণ ভালো করেই জানে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বলেছে কেউ লকডাউন মানছে না, কার্যকর হচ্ছে না, অথচ এখন সরকার সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়ার পর বলছে সরকার লকডাউনের নামে শাটডাউন দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।
বিএনপির দ্বিচারিতা রাজনীতির মাঠ থেকে তাদের জনগণ দূরে সরিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নীতি হচ্ছে সরকার যা করবে, ভালো মন্দ যাচাই না করে তার বিরুদ্ধে বলতে হবে এবং তারা তোতাপাখির মতো তাই করে যাচ্ছে। বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনৈতিক চরিত্র অনেক আগেই জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তাই তারা রাজনীতিতে দিন দিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।
করোনা সংকটে রাজনৈতিকভাবে কাউকে আক্রমণ করার চিন্তা নেই এবং পারস্পরিক দোষারোপ করোনা সংকটকে আরে ভয়াবহ করে তুলবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দোষারোপের রাজনীতি থেকে এ মূহুর্তে বের হয়ে আসতে হবে।
করোনা নিয়ে এখন কারো রাজনীতি করা সমীচীন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি আসলে কিছু কিছু উদ্ভট অভিযোগ করে, তার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয়। বিএনপি যদি আজ এই মহামারির সময়ে প্ল্যান গেমের রাজনীতি থেকে নিজেদের বিরত রাখে সেটাই জনগণের জন্য শুভ হবে।