টিকার সংকট নিয়েই দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া প্রদান। এই সংকট নিরসনে বিকল্প উৎস খুজছে সরকার। চীন ও রাশিয়ার কাছ টিকা পেতে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা।
আজ রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকার চালান কবে আসবে জানিনা। তবে আশ্বস্ত করেছে তারা। বিকল্প উৎস থেকে টিকা পেতে চীন রাশিয়ার টিকার বিষয়ে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, শুধু চীন রাশিয়া নয় যেকোনো দেশই টিকা দিতে চাইলে সরকার নেবে, যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা উৎপাদন করছে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে টিকা নিরাপদ, এটা নিশ্চিত হয়েই টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত হবে।
করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বুধবার দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘কঠোর’ ও ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন। এর মধ্যেও দেশে টিকা কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানালেন স্বাস্থ্য খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘টিকা কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া আসন্ন রমজান ও লকডাউনেও টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
করোনার সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানি বিলম্বিত হতে পারে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮০টি দেশও সিরাম উৎপাদিত টিকা পাবে। কিন্তু রপ্তানি স্থগিত হওয়ায় এসব দেশও টিকা পাচ্ছে না। ফলে সিরামের কাছ থেকে টিকার নতুন চালান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।