পদ্মাসেতু নির্মাণে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো: অর্থমন্ত্রী

পদ্মাসেতু নির্মাণে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো: অর্থমন্ত্রী

পদ্মাসেতু নির্মাণে একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। চূড়ান্ত হওয়ার পর বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে।

সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণে সরকারি উদ্যোগে তহবিল গঠন সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান।

“সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নেই পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে কি না” জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “মোটেই তা নয়। একইসঙ্গে অন্যান্য দাতাদের সঙ্গেও সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি দাতাসংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে আগের চেয়ে ব্যয় কিছুটা বাড়তে পারে।”

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের যে প্রতিনিধি রয়েছেন তিনি গত ৩ জুলাই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।”

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবনতি হবে না। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন অংশীদার। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় দেশে ৪১টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “সরকার যে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছা তহবিল। হিসাব দু’টি খোলার পর যে কেউ এ তহবিলে অর্থ দিতে পারবে। বাজেটের মাধ্যমে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।”

প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, পদ্মাসেতুতে সরকারের অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৬০ কোটি ডলার।

“হিসাব খোলার পর সরকারের পক্ষে অর্থ প্রদানের আহবান জানানো হবে কি না” -জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আহবান জানানো হবে। তবে আহবান জানানোর আগেই জনগণ যেভাবে স্বত:স্ফূর্ত সাড়া দিচ্ছে তা অকল্পনীয়।”

এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারের হিসাব খোলার পটভূমি ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি সিলেট সফরকালে সিলেটের পাঠানটুলি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ২৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হলে তখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

উল্লেখ্য, পদ্মাসেতু নির্মাণে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছিল।

অর্থ বাণিজ্য