হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, তদন্তে যারাই চিহ্নিত হবে, ব্যবস্থা নেয়া হবে সবার বিরুদ্ধেই।
গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিবসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পর দিন আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলে তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে নাশকতা হবে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে যারাই চিহ্নিত হবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মামুনুল হক সহ হেফাজত নেতারা ক্রগাগত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তারা সমর্থকদেরকে উত্তেজিত করে যেসব বক্তব্য দিয়ে আসছেন সেগুলা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওইদিন ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর ২৮ মার্চ এই দুই এলাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিজগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর আর ৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রিসোর্ট কাণ্ডের পর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের ছাতকে তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজত সমর্থকরা।
তারা বেপরোয়া ভাঙচুর, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে এসেছে। তবে এসব ঘটনায় করা মামলায় হেফাজত নেতাদের কারও নাম না থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার। ধর্মভিত্তিক এই সংগঠনের নেতাদেরকে কেন ছাড় দেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে অবশ্য প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে স্পষ্টতই বলেছেন, ছাড় দেয়া হবে না কাউকে।
সরকার প্রধানের এই বক্তব্যের পরদিন পরদিনই পল্টন থানায় মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে।
শনিবার সোনারগাঁওয়ে এন নারীকে নিয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর মামুনুল তাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে তার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ফেসবুক লাইফে এলেও তাকে প্রকাশ্যে আর দেখা যায়নি।
হেফাজত নেতা কোথায়- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মামুনুল পুলিশি হেফাজতে নন।’