মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এবং তাদেরকে রক্ষা করার চক্রান্ত প্রতিহত ও দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীতে ১৪ দলের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এই গণমিছিল দুপুর ২টা ৩০মিনিটে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং থানা থেকে যাত্রা শুরু করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে।
৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে উদ্যানের পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করার স্থানটিতে স্থাপিত শিখা চিরন্তনের পাদদেশে সমবেত হবে এ গণমিছিল।
এখানে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করবেন। এখান থেকে কেন্দ্রীয় ১৪-দল এ দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
কেন্দ্রীয় ১৪-দলের সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই গণমিছিল ও সমাবেশকে সফল করার জন্য দেশের সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সংস্কৃতিসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গণমিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবারের গণমিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ২৯ তারিখের গনমিছিল কেবল আওয়ামী লীগ কিংবা ১৪ দলের মিছিল নয়। সারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে নিজ নিজ ব্যানারে মিছিল নিয়ে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই।
মাহবুব-উল আলম হানিফ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মিছিলে আপনাদের যোগ্যতা দেখতে চাই। সর্বোচ্চ জমায়েত নিয়ে এই মিছিলে আসতে হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।