ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সুয়েজ খাল এবং অভ্যন্তরীণ পাইপলাইনে ইরানি তেলের রফতানি পথ বন্ধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মিসর।
রোববার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে মিসরীয় দৈনিক আল আহরাম।
পরমাণু কর্মসূচির ইস্যুতে ছয় মাস আগে ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে গত ১ জুলাই। যেখানে ইরানের মোট রফতানির ১৮ শতাংশই আসে ইইউ দেশগুলোতে।
তবে ইইউ’র এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মিসরের জ্বালানি বিভাগের একটি সূত্র বলছে, এ পথে অন্য দেশের তেল রফতানির জন্য করা চুক্তি যেমন প্রতি বছর নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় তেমনি ইরানের ব্যাপারেও করা হবে। সূত্র বলছে, “ইরানের তেল পরিবহন নিষিদ্ধ করে কোনো নির্দেশনা আমার সরকারের কাছ থেকে পাইনি।”
সূত্র আরো বলেছে, “রফতানি নিষেধাজ্ঞা শুধু ইইউভূক্ত দেশগুলোর জন্য কার্যকর হবে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই।”
আল আহরাম পত্রিকা জানায়, মিসরের সুমেদ (SUMED) কোম্পানির পাইপলাইন দিয়ে ইরানের তেল রফতানির জন্য সরবরাহ করা হয়।
উল্লেখ্য, ইরান বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে পরমাণু অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পশ্চিমারা। এ বিতর্কের জেরে এ যাবত ইরানের বিরুদ্ধে চারবার অবরোধ আরোপ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
তবে ইরান সব সময়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, সম্পূর্ণ বেসামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য তারা পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।