জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগত বিদেশি ভিভিআইপিদের গমনাগমনের জন্য শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ও কাল ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
ডিএমপি সূত্র বলছে, শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন। পরে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। এরপর নরেন্দ্র মোদি হোটেল সোনারগাঁওয়ে আসবেন। পরে বিকেলে তিনি যাবেন শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
তার মধ্যে আছে বিমানবন্দর সড়ক, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক, মিরপুর রোড, কল্যাণপুর, গাবতলী হয়ে ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের সাভারের নবীনগর। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রধান সড়ক ও ওই এলাকার উড়ালসড়ক। সেখান থেকে বঙ্গভবনে যাওয়ার শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে), কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশের সড়ক ও মৎস্য ভবনের সামনের প্রধান সড়ক। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যেকোনো প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ থাকতে পারে।
এ ছাড়া শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তেজগাঁও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর বঙ্গভবনে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন।
এ সাময়িক অসুবিধার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।