ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ওসি, এএসআইসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ৪টি মোটরসাইকেল ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন- হরিণাকুণ্ডু পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সরদার ইউনুস আলী, সহকারী উপপরিদর্শক হুমায়ন কবির, কনস্টেবল আলী আজম, জাকির হোসেন ও তারিক হোসেন, বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান, আব্দুল কাদের, যুবলীগ নেতা আশরাফুল হক জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা রিগান ও রাজু আহম্মেদ।
সংঘর্ষের পর পুলিশ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন ও বিএনপি কর্মী মোশাররফকে আটক করে।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, শনিবার হরিণাকুণ্ডু শহরের দলীয় কার্যালয়ে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ একটি মিছিল বের করে।
মিছিলটি বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হরিণাকুণ্ডু শহরের দোয়েল চত্বরে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দু’পক্ষের ইটপাটকেলে পুলিশের পরদির্শক (তদন্ত) সরদার ইউনুস আলীসহ ৫ পুলিশ আহত হন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান।