আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দেশের নিট গার্মেন্টস মালিকদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠতে শুরু করেছে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি প্যানেলের প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তারা দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি।
শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন বর্তমান সভাপতি সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত নিট পরিষদ। এর আগে গত ১০জুলাই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করে সাবেক সভাপতি ফজলুল হক প্যানেল এর প্রার্থীরা।
সেলিম ওসমান হলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের এমপি নাসিম ওসমানের ছোট ও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।
শনিবার দুপুর ১২টায় শহরের চাষাঢ়ায় সায়াম প্লাজায় সম্মিলিত নিট পরিষদের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। সেখানে মিলাদ মাহফিলের পর নিট পরিষদের প্রার্থীরা চলে যান ফতুল্লার পঞ্চবটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পনগরীতে (বিসিক)।
সেখানে তারা বিকেল পর্যন্ত প্রচারণা চালান।
বিসিকে প্রায় ৪ শতাধিক ছোট বড় নিট গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিট পরিষদের প্রার্থীরা বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা করেন। এসময় তারা তাদের প্যানেলকে জয়ী করার আহ্বান এবং জয়ী হলে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রচারণার সময়ে নিট পরিষদের নেতা বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আসলাম সানি, পরিচালক মঞ্জুরুল হক, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, শামীম আহম্মেদ, হুমায়ূন আহম্মেদ, ফকির মনিরুজ্জামান, সেলিম সারোয়ার, ইলিয়াস সরকার, সালাউদ্দিন তোফা, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত এ নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি সেলিম ওসমানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত নিট পরিষদ ও সাবেক সভাপতি ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন প্যানেল অংশ নিচ্ছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেএমইএ-এর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই ভোটার হওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ১২ আগস্ট মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে।
১৪ আগস্ট বাছাই সম্পন্ন হবে। ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৭ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুলাই বিকেএমইএ-এর ২০১২-১৪ এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
কিন্তু ভোটার তালিকা নিয়ে ২ সদস্যের আপত্তির কারণে গত ৪ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ২ মাস পিছিয়ে দেয়।
পরে ৫ জুন সভা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করেন। তবে যারা ইতোপূর্বে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে, তাদের মনোনয়ন পত্র বহাল থাকবে।