বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘ধনিদের ব্যাংকের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রবণতা কম। গরিব ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের থেকেই অর্থ ফেরত পাওয়া যায়। তাই, এ বছর ৫৯ হাজার কোটি টাকা এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ধনিদের ঋণ দেওয়া চলবে না, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে বেশি বেশি ঋণ বিতরণ করা দরকার। ব্যাংক এক সময় শুধু ধনিদের ঋণ দিতো। কিন্তু, এখন চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের একটি শাখা শহরে খুললে, গ্রামেও খুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষককে অবশ্যই ঋণ দিতে হবে। তা না হলে ব্যাংক থাকবে না। ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণে অনুৎপাদনশীল খাতকে নিরুৎসাহিত করে উৎপাদনশীল খাতে বেশি ঋণ দিতে হবে।’
শনিবার সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম.মন্সুর আলী অডিটরিয়ামে ট্রাস্ট ব্যাংক আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণকালে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
ট্রাস্ট ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক শাহ আলম সরোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গভর্নরের উপদেষ্টা বিরূপাক্ষ পাল, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোখলেসুর রহমান, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পাচলিয়ার হযরত আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হয়েছে। তবে, একা কোনো সরকারের পক্ষে সব স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই, আমাদের সবার হাত এগিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির দৈত্যকে বোতলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে ইউরোপের বিদ্যা-বুদ্ধি বেশি থাকলেও তারা উন্নতি ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে গোটা ইউরোপ এখন শঙ্কিত।’
তিনি দেশের স্বার্থে দলীয় বিভেদ ভুলে সবাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এরপর ড. আতিউর রহমান পৌর এলাকার মাছুমপুরের ন্যাশনাল ব্যাংকের অর্থায়নে জরিপল্লী পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।