আইসিসির বার্ষিক মূল্যায়নে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শূন্য পেয়েছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা দেশের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত এক মৌসুমে (২০১১ জুলাই থেকে ২০১২ জুলাই) পাঁচটি টেস্ট খেলেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক টেস্টের সিরিজ হেরেছে। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজ খেলে হেরে গেছে ১-০ তে। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের কাছে হোম সিরিজ ২-০ তে পরাজয় জুটেছে। টানা ব্যর্থতায় এক বছরে কোনো পয়েন্ট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগে যে পয়েন্ট ছিলো তাও বাদ হয়ে গেছে। ফলে শনিবার প্রকাশিত বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কোনো পয়েন্ট দেখাতে পারেনি আইসিসি।
আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র টেস্ট নিয়ে অত ভাববার সময় নেই। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে তারা এত বেশি মজে আছেন, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে গোল্লায় গেলেও কিছু যায় আসে না। ২০১১’র
ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোমে টেস্ট খেলতে চায়নি ক্রিকেট বোর্ড। ১৪ মাসের ব্যবধানে জিম্বুবয়েতে টেস্ট খেলতে নেমে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানরা। এবারও ১১ মাস পর টেস্ট খেলবে। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি হোম সিরিজ আছে বাংলাদেশের। পরের বছর এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে।
বাংলাদেশ অধপাতে গেলেও র্যাঙ্কিং পয়েন্ট বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়ানদের সংগ্রহ ৮৪ পয়েন্ট। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে নিউজিল্যান্ড। ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে শ্রীলঙ্কা। ভারত এবং পাকিস্তান খুব কাছাকাছি। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারতের সংগ্রহ ১০৪ আর চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের অর্জন ১০৯ পয়েন্ট।
ইংল্যান্ড ১২২ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠেছে। তাদের চিরশত্রু অস্ট্রেলিয়া নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানে ১১৬ পয়েন্ট নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রাকারও অবনমন হয়েছে। প্রোটিয়াসদের পয়েন্ট ১১৩।
দক্ষিণ আফ্রিকা এক লাফে এক নম্বরে চলে যেতে পারবে যদি ইংল্যান্ডকে আসন্ন তিন টেস্টের সিরিজে হারাতে পারে। সিরিজ ড্র হলে ইংল্যান্ড শীর্ষে থেকে যাবে।
র্যাঙ্কিং মূল্যায়নে জিম্বাবুয়েকে গণনা করা হয়নি। আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র্যাঙ্কিংয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টেস্ট খেলেনি জিম্বাবুয়ে।