বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি খেলা খেলছেন সেই এপ্রিল থেকে। ৩০ এপ্রিল প্রথমবার হুঁশিয়ারি ডেট লাইন। ৩১ মে পরের বার হুঁশিয়ারি ডেট লাইন! ৮ জুন বর্ধিত হুঁশিয়ারির ডেট লাইন! আরে শেষ হয়নি, ২১ জুলাই চতুর্থবার হুঁশিয়ারি ডেট লাইন!
একটি সুন্দর প্রবচন আছেন, ‘একবার নাক কাটলে যায় বাড়ির নিচ দিয়ে, সাতবার কাটলে যায় ওপর দিয়ে।’ যাক এখনো ফ্রেঞ্চাইজিদের সাতবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়নি। এখনো হয়তো কিছুটা লাজলজ্জা আছে। এবার নিশ্চয় বিদেশিদের বকেয়া তারা শোধ করে দিবেন।
শনিবার এক চিঠিতে বিপিএল ফ্রেঞ্চাইজিদের আরেক বার হুঁশিয়ার করেছে টুর্নামেন্ট গভর্নিং কাউন্সিল। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিদেশি ক্রিকেটারদের চুক্তির সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করতে বলেছে। বিসিবি জামিনদার হয়ে মার্লন স্যামুয়েলস এবং কিয়েরন পোলার্ডসহ যে কয়জন ক্রিকেটারের সম্মানী পরিশোধ করেছে বিসিবি, তাও ফেরত দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ফ্রেঞ্চাইজিকে। সমুদ্বয় বকেয়া পরিশোধ করলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ফ্রেঞ্চাইজিদের সঙ্গে চুক্তি করবে। কিন্তু ওসব না করলে কী হবে? বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বললেন, ‘বিদেশি ক্রিকেটারদের খুব বেশি বকেয়া নেই। অল্প পরিমাণে যে যা পাবে ফ্রেঞ্চাইজিদের তা দিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। কোনো ক্রিকেটারের একাউন্টে টাকা না পৌঁছালে তা যেন আবার পাঠায় তাও উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ২২ জুলাই চুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার আগে ফ্রেঞ্চাইজিদের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। যদি কেউ আমাদের নির্দেশ না মানে তাহলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এছাড়া কোন কোন দলে কতজন শেয়ারের মালিক আছে তাও দেখাতে হবে।’
অবশ্য ওসব না মানলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ফ্রেঞ্চাইজিদের কিছু করতে পারবে না। কিছু করতে হলে চুক্তিপত্র লাগবে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে তো কোনো চুক্তিপত্রই নেই।
বিদেশিরা তাদের বকেয়া হয়তো পেয়ে যাবেন। কিন্তু স্থানীয় ক্রিকেটারদের অপেক্ষায় থাকতে হবে হয়তো পরবর্তী মৌসুম পর্যন্ত। এমনকি স্থানীয়দের অনেককে চুক্তির পুরো টাকা নাও দেওয়া হতে পারে। দেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে লিপুর বক্তব্য, ‘আগে বিদেশিদের বিষয়টি সমাধান হোক। পরে দেশের ক্রিকেটারদের পাওনাও দেওয়া হবে।’