প্র্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে মেরিটিমাস নামে একটি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি খুব শিগগিরই বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী চার`শ কোটি টাকার ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কোম্পানীটি পাঁচটি প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। বিশ্বে এ ব্যবসার বাজার রয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে কার্যযক্রম শুরুর পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোম্পানীটি পাঁচটি প্রকল্পই বাস্তবায়ন সম্পন্ন করবে।
মেরিটিমাস কোম্পানির চেয়ারম্যান এএম রফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য থেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, “সার্বিক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি হবে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। এর মালিকানা সম্পূর্ণভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে।”
উদ্যোগের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই তুরস্কসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে তাদের সফল আলোচনা হয়েছে। ইউরোপ এবং আফ্রিকায় বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে বলে উভয়পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “মেরিটিমাসের বিনিয়োগ জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। একই সঙ্গে এ উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর অংশে কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করা হবে।”
মেরিটিমাস নারীসহ দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে বলে তাদের আশা।
রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী জাহাজ নির্মাণ শিল্পে এখন মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি ডলার। সেখানে বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে এ বাজারে ৪শ’ কোটি ডলার ব্যবসা করতে পারবে।
উদ্যোগের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, মেরিটিমাস এর মুখ্য পাঁচটি প্রকল্পের কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবে বলে তারা আশা করছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে- মেরিন একাডেমি এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ অন্যতম।
এছাড়া সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের রফতানিমুখী শিপইয়ার্ড, দেশীয় শিপইয়ার্ড এবং নিজেদের ও আন্তর্জাতিক জাহাজের জন্য একটি উন্নতমানের মেরামত কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্য আছে তাদের।
মেরিটিমাস জাহাজ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে দেড়শ’ বিঘা জমি কেনা হয়েছে বলে জানান কোম্পানির চেয়ারম্যান এএম রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এর মধ্যেই দু’টি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ঢাকার আনন্দ এবং চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন নামে সম্পূর্ণ রফতানিমুখী দু’টি কোম্পানি এরইমধ্যে কয়েকটি জাহাজ রফতানি করেছে।