শ্রীকাইল গ্যাসফিল্ডে সফল পরীক্ষা চলছে

শ্রীকাইল গ্যাসফিল্ডে সফল পরীক্ষা চলছে

নতুন আবিষ্কৃত শ্রীকাইলে গ্যাসক্ষেত্রে সফলভাবে ডিএসটি চলছে। ক্লিন আপ টেস্ট শেষে শুক্রবার রাতে শুরু করা হবে রিয়াল টেস্টিং। চলবে রোববার ভোররাত পযর্ন্ত। এর আগে চূড়ান্তভাবে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাপেক্সের পদস্থ কর্মকর্তা।

তবে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘শুক্রবার সকালে ১৯০০ পিএসআই চাপ ছিলো। সন্ধ্যার দিকে একই চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তাই ভালো ফলেই আশা করা হচ্ছে।’’

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা নিচের জোনে (৩০১৭ থেকে ৩০৪৩) ২৬ মিটার সফলভাবে পরীক্ষা শেষ করেছি।এই গ্যাস স্তরের ওপরে (২৯২৭ থেকে ২৯৬২) ৩৫ মিটার পুরু স্তর রয়েছে।’’

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ওপরের জোনটির ডিএসটি করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এখান থেকে দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’’

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ৯টায় ড্রিল ইস্টিম টেস্টে (ডিএসটি) শ্রীকাইলে গ্যাসক্ষেত্রে গাস পাওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পেট্রোবাংলা।

বাপেক্সের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই ফিল্ডের গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কি না তা বোঝার জন্য  রোববার পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে বলা হলে তা হবে অনুমান নির্ভর, যা শেষ পযর্ন্ত সঠিক নাও হতে পারে।

ডিএসটি প্রত্যক্ষ করার  জন্য শুক্রবার রাতেই শ্রীকাইল উপস্থিত হন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক জানিয়েছেন, চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হতে আরো ২ দিনের মতো সময় লাগবে।

বাপেক্স খনন বিভাগের পরিচালক আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, মে মাসের শুরুতে ২ নম্বর কূপে ড্রিলিং শুরু করা হয়। ড্রিলিং শেষ হয়েছে ১০ জুলাই।

উল্লেখ্য, সিসমিক সার্ভেতে কূপে ২৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লগ করার সময় গ্যাস পাওয়া গেছে বলে বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, সিসমিক সার্ভেতে গ্যাসের মজুদ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। তবে সেই গ্যাস বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন যোগ্য কিনা তা ডিএসটি ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ৮১টি কূপ থেকে  প্রতিদিন ২ হাজার ১৯৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট ঘ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এ গ্যাসের ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থাৎ ৯৩১ দশমিক ৮১ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৫৩ দশমিক ৯০ এমএমসিএফডি।

সার উৎপাদনে ২৩৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ৬৬ দশমিক ৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। যা মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যান্য গ্রাহকদের ১ হাজার ১৬৪ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবারহ করা হচ্ছে। যা মোট উৎপাদিত গ্যাসের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান

 

 

বাংলাদেশ