পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বিশ্ব শক্তিগুলো ব্যর্থ, যা তাদের জন্য লজ্জার। সোমবার (০৮ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব আয়োজিত ‘নারী কূটনীতি’ সম্পর্কে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে অল্প কয়জন সেনা কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করছে, যা যথেষ্ট নয়, সব দেশেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যারা শান্তি নিয়ে কাজ করে তারাও নিরব। কুতুপালং বা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া সমাধান নয়। তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, এ নারী দিবসে আমি বলতে চাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্তের ওপরে রয়েছে রোহিঙ্গা নারীরা, যারা তাদের সব কিছুই হারিয়েছে। বাংলাদেশ যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করলেও মিয়ানমার তা করছে না। প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ তাদের শুরু করতে বলেছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান না করা হলে এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
এর আগে বাংলাদেশের সাথে ২০১৭ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে মিয়ামারের সেনারা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে ‘হত্যা ও ধর্ষণ’ চালিয়েছিল এবং রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়েছিল। জাতিসংঘ, রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাটেড স্টেটস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এবং আরও অনেককেই এ বিষয়টি দেখিয়েছে। সে সময় ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ‘সহিংস গণহত্যা’ থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল এবং বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে জায়গা দিয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ একাধিক উপায়ে- দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় এবং বিচার ব্যবস্থা মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি নারী দিবসের বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠনো বন্ধের সুযোগ নেই। সংবিধানে সেই অধিকার দেওয়া নেই। পুরুষ শ্রমিক পাঠালে নারীদেরও সুযোগ দিতে হবে, এটাই সংবিধানিক নিয়ম।