রাঙামাটি টেক্সটাইল মিল বিক্রির প্রস্তাব উঠছে

রাঙামাটি টেক্সটাইল মিল বিক্রির প্রস্তাব উঠছে

বন্ধ হয়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলটি সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রি ও হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে উঠছে।

বেসরকারিকরণ কমিশন ইতোমধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে রাঙামাটি টেক্সটাইলটির বিক্রয় প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে। মিলটির বিক্রয় প্রস্তাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিক্রয়ের পরও এর দেনা পরিশোধে সরকারকে আরো ৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসরকারিকরণ কমিশন কর্তৃক প্রেরিত রাঙামাটি টেক্সটাইল মিলের বিক্রয় প্রস্তাবের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত কমিশনের ৫৪তম সভায় মিলটির বিক্রয়মূল্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কমিশনের মূল্যায়ন ফার্মের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিলটির বর্তমান মোট সম্পদ মূল্য হচ্ছে ৫৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে মোট বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মেসার্স সাত্তার এন্টারপ্রাইজ।

অন্যদিকে মিলটির মোট দায়-দেনার পরিমাণ হচ্ছে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ‘বেসরকারিকরণ প্রবিধানমালা ২০০৭’ অনুযায়ী বিক্রয়ের পর ক্রেতার পরিবর্তে মিলের সমুদয় দায়-দেনা বহন করবে সরকার। অর্থাৎ মিলটি বিক্রয়ের পর এর দেনা পরিশোধে সরকারকে আরো ৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।

কমিশন জানায়, মিলটি ক্রয়ের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান সাত্তার এন্টারপ্রাইজ প্রথমে মিলটি ক্রয়ের জন্য ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছিল। পরবর্তীতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মিলটির ক্রয়মূল্য বাবদ আরো ১ কোটি অধিক প্রদানে সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান ইন্টারন্যাশনাল মিলটি ক্রয়ের জন্য ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল।

সারসংক্ষেপে রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলটি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় ১৯৭৬ সালে বিটিএমসি কর্তৃক মিলটি স্থাপিত হয়। মিলটির বিক্রয়যোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ২৬ দশমিক ২৪ একর। মিলটিতে মোট ১৮ হাজার ৫৭৬টি টাকু রয়েছে। ১৯৯৭ সালে মিলটি বিএমআরই (ব্যালেন্সিং-মডার্নাইজেশন-রিপ্লেসমেন্ট-এক্সপানশন) করা হয়। মিলটির যন্ত্রপাতি পুরাতন বিধায় এর পরিচালন ব্যয় বেশি ও উৎপাদন ক্ষমতা কম। ফলে মিলটি ক্রমশ: লোকসান দিতে থাকে এবং এর দেনার পরিমাণও বাড়তে থাকে। গত ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে মিলটি বন্ধ রয়েছে।

 

অর্থ বাণিজ্য