জর্দানের প্রধান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে ব্রাদারহুড জানায় এ বছরের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবে না তাদের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট ।
ইসলামপন্থি এই রাজনৈতিক সংগঠনটি দাবি করেছে নির্বাচনী আইন সংস্কার আশানুরুপ না হওয়ায় তারা পার্লামেন্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। আরো সংস্কার এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে প্রয়োজনে রাস্তায় বিক্ষোভ করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষে।
তবে তারা উল্লেখ করেছে, নির্বাচনী আইনে আশানুরুপ সংস্কার আনা হলে বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
ব্রাদারহুডের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা জর্দানের বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসক রাজা আবদুল্লাহর জন্য একটি বড় ধরণের ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান আরব বসন্তের মুখে নিজ দেশে এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে আগে ভাগেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।
দলের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্বাচন বয়কটের এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বলে ব্রাদার হুডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাদারহুডের উপ প্রধান জাকি বানি রুশাইদ বলেন, জর্দানি নাগরিকদের প্রত্যাশিত সংস্কারের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে শাসকরা।
মূলত দেশটির বিতর্কিত নতুন নির্বাচনী আইন নিয়েই এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
জর্দান মুসলিম ব্রাদারহুড ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকেও বয়কট করেছিলো। নির্বাচনে রাজা আব্দুল্লাহর অবৈধ প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ওই নির্বাচন বয়কট করে তারা।
বিশ্লেষকদের ধারণা ব্রাদারহুডের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা নিজ দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন রাজা আব্দুল্লাহর ওপর চাপ আরো বৃদ্ধি করবে।