তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে অনুভূত হওয়ার পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পরে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার পর সেই সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় তৃতীয় ও সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ন্যাশনাল ইমারজেন্সি এজেন্সি সুনামি সতর্কতা জারি করে।
এর মধ্যে উপকূল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে কয়েকটি শহরে শত শত লোক হুড়োহুড়ি করে উঁচু জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরের পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায় বড় ঢেউগুলো অতিক্রম করে গেছে।
অধিবাসীদের বলা হয়েছে তারা চাইলে এখন ঘরে ফিরতে পারে।
নিউ ক্যালিডোনিয়া ও ভানুয়াটুতেও বিপজ্জনক ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
সেখানে ১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল, অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকার একাংশ- পেরু, ইকুয়েডর ও চিলি উপকূলে ১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
হাওয়াইভিত্তিক প্যাসিফিক সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, ‘সুনামি ঢেউ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে’, কিন্তু এখন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন ইন্সটগ্রামে লিখেছেন, ‘আশা করি সবাই ঠিক আছে।’
যে তিনটি ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হেনেছে সেগুলোর প্রতিটিই ৭ মাত্রার চেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল।
এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিল ৮ দশমিক ১ মাত্রার, যা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জ এলাকার কাছে আঘাত হানে। তবে ওই দ্বীপে জনবসতি নেই।
অন্যদিকে সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার হলেও তৃতীয় ভূমিকম্পের পর নতুন সতর্কতা দেয়া হয়েছে এবং কয়েকটি এলাকা সুনামি সাইরেন বাজানো হয়েছে।
এর পরই লোকজনকে অস্বাভাবিক জোয়ারের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূল এলাকা থেকে সরে উঁচু এলাকাতে যেতে বলা হয়। পরে অবশ্য এসব সতর্কতা সরিয়ে নেয়া হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সুনামির ভয়ে বাড়িঘর, স্কুল ও কর্মস্থল থেকে পালানোর সময় কয়েকটি শহরে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
গত সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ড ৬দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্রাইস্টচার্চে ১৮৫ জনের মৃত্যুর দশম বার্ষিকী পালন করেছে।
খবর বিবিসি