সর্বজনের শ্রদ্ধা আর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হলো প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামকে। বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এইচ টি ইমামের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। এর আগে তার নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জেও হয় জানাজা।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে এইচ টি ইমামকে শ্রদ্ধা জানান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচররা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন কিন্তু কাজ থেকে তিনি অবসর নেননি। এমন কর্ম পাগল মানুষ আমাদের এইচ টি ইমাম সাহেব। তার মৃত্যুতে যে শূণ্যতা হলো এটা সহজে পূরণ হবার নয়।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহামুদ বলেন, ‘এইচ টি ইমাম সাহেবের যে বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ আসলে যারা কাছে থেকে দেখেনি তারা বুঝতে পারবে না। তার এই চলে যাওয়া দেশের জন্য, আমাদের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। আমি তার আতœার মাগফেরাত কামনা করি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে আরাম্ভ করে সকল ক্ষেত্রে তিনি তার উৎকর্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। আমরা আসলেই অত্যন্ত শোকাহত।’
নাট্যজন আতাউর রহমান বলেন, ‘উনার অবদান অস্বীকারর্জ , তিনি যুগ যুগ ধরে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। আমি কোনদিন ভাবি নাই এইচ টি ইমাম সাহেব ৮২ বছর বয়সেই চলে যাবেন।’
বাদ আছর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর এইচ টি ইমামের মরদেহ নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হেলিকাপ্টারে এইচ টি ইমামের মরদেহ হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া তার গ্রামের বাড়ি ছোনতলার হাইস্কুল মাঠে। পরে মরদেহ নেয়া হয় উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে। সেখানে গার্ড অব অনার দেয় উপজেলা প্রশাসন।
এরপর এইচ টি ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। পরে জানাযায় শেষে তার ছেলে সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম এসময় বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান ছেলে।
এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম বলেন, ‘আজ বাবা হারালাম। আমার মাও নাই বাবাও নাই এখন আপনারাই আমার অভিভাবক। আপনাদের কাছে করজোরে অনুরোধ করি আপনারা আমার বাবাকে ক্ষমা করে দিয়েন।’
এসময় বলা হয়, এইচ টি ইমামের মৃত্যু আওয়ামী লীগ ও দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।