বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ে ওয়েবসাইটে এই তালিকা রয়েছে।
এর আগে ১৫ই ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের কথা ছিলো। তবে উপজেলা পর্যায় থেকে খসড়া তালিকা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পুরোপুরি হাতে না পাওয়ায়, নির্ধারিত সময়ে তালিকা প্রকাশ সম্ভব হয়নি। তেসরা মার্চ সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলা (মহানগরের ক্ষেত্রে) ও উপজেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এরই মধ্যে দেয়া ইউজার আইডি (User id) ও পাসওয়ার্ড’র (Password) মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এম আই এস) এ মন্ত্রণায়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যে কোনো একটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম থাকলে তার বা তাদের তথ্যাদি সন্নিবেশ করা হয়েছে, যার কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, উল্লেখিত এম আই এস অপশনটি এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট http://www.molwa.gov.bd এর টপ মেনুবার ‘এম আই এস’ হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে উক্ত এম আই এস মেনুবারে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজিত হয়েছে। একইভাবে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী সুবিধাভোগীদের তথ্যাদিও সন্নিবেশিত হয়েছে। এছাড়া এম আই এস মেনুবারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলে একটি ইউনিক নম্বরসহ সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার যত ধরনের প্রমাণক রয়েছে, যেমন: ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা বা বিভিন্ন শ্রেণির গেজেটে নাম রয়েছে তার নামসহ নম্বরও উল্লেখ রয়েছে। ফলে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম, পরিচিতি বা মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত প্রমাণকে তথ্যগত বিভ্রাট থাকলে তা সংশোধন করা প্রয়োজন হবে। এম আই এস এ প্রকাশিত কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে কেউ চলমান যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের আওতায় থাকলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আই, ২০০২’ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ভিন্নরূপ কোনো সুপারিশ করলে পরবর্তীতে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২০০৯ সালের আগে প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটসমূহ নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই পরবর্তী প্রতিবেদনে যেসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংক্রান্ত প্রমাণকের তথ্যসমূহ নিজ দায়িত্বে উক্ত এম আই এস এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এ পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত এম আই এস এর ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা চূড়ান্তকরণ এবং সঠিক ব্যাংক হিসাবে সম্মানি ভাতা প্রেরণের লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও পিতার নাম ব্যতীত অন্য কোনো তথ্য (ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্যসহ) সংশোধনের প্রয়োজন থাকলে তা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্ণিত নাম ও পিতার নামের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণকে বর্ণিত নাম ও পিতার নামে অস্বাভাবিক বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ করা যেতে পারে।